মালয়েশিয়ার লেংগিং ক্যাম্পের কমান্ডারের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় দূতাবাসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নেগরি সেম্বিলান ইমিগ্রেশন বিভাগের অ্যাসিস্টেন্ট ডাইরেক্টর ও লেংগিং ক্যাম্পের কমান্ডার জুরাইন বিন মো. ইদ্রিছ। এছাড়া ক্যাম্পের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, অহেতুক বন্দী না রেখে দ্রুত দেশে প্রেরণ এবং যাদের কোম্পানি কাজে নিতে চায় তাদের কোম্পানির অধীনে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। এ ছাড়া যারা রিহায়ারিং প্রক্রিয়ায় আছে তাদের যেন বৈধ হবার সুযোগ দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন ,ক্যাম্পে থাকা বাংলাদেশের নাগরিকদের দ্রুত দেশে ফেরত প্রেরণ এবং অহেতুক বাংলাদেশি কর্মীদের হয়রানি না করার আশ্বাস দেন কামান্ডার জুরাইন বিন মো. ইদ্রিছ।
এদিকে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য বিভাগের প্রতিদিনের মেগা-থ্রি অভিযানে বাংলাদেশিসহ অবৈধ অভিবাসীদের আটক করে দেশটি। আটককৃতদের সিমুনিয়া, লেঙ্গিং, জুরুত, তানাহ মেরায়, মাচাম্বু, পেকা নানাস, আজিল, কেএলআইএ সেপাং ডিপো, ব্লান্তিক, বুকিত জলিল ও পুত্রজায়ায় রাখা হচ্ছে।
তবে কতজন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। হাইকমিশনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এসব ক্যাম্পে যে সব বাংলাদেশি রয়েছেন যাদের সাজা শেষ হচ্ছে তাদের দেশে পাঠানো হচ্ছে।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, বিভিন্ন কারাগার ও ক্যাম্পে যারা আটক আছেন, তাদের বেশিরভাগই অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ কিংবা অবৈধভাবে থাকার কারণে গ্রেফতার হয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন, ১৯৫৯-এর ধারা ৬(১) সি/১৫ (১) সি এবং পাসপোর্ট আইন, ১৯৬৬-এর ১২(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে শ্রম কাউন্সেলর বলেন, কারাগার পরিদর্শনে গিয়ে বন্দিদের নিম্নমানের খাবারের অভিযোগ শুনে কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রত্যেকটি ক্যাম্পে কতজন বাংলাদেশি আটক রয়েছে তাদের তালিকা দ্রুত মিশনে পাঠাতে বলা হয়েছে।